Tuesday, July 30, 2024

পরিচয়হীন জনপদ

 

নিজ দেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমার বরাবরই ছিল সেই সাথে ঘুরে বেড়ানোটা আমার নেশার মতন সময় পেলেই বা ফাক ফোকর পেলেই বেড়িয়ে পড়ি অজানাকে জানার জন্য শুধু যে অজানাকেই জানতে বের হই এমনটা নয় অনেক সময় জানা জিনিসটাকে আরো একটু ভালো করে দেখবার জন্যও বেড়িয়ে পড়ি এবারে বেড়িয়ে পড়ার গল্প শুরু করা যাক এ গল্পের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরোনো বাংলা তখন মোগল ও ব্রিটিশ আমলের রাজা ও জমিদারদের দখলে ছিলতখনকার রাজা/জমিদাররা দাবা এবং পাশা খেলায় অভ্যস্ত ছিল সেই পাশা খেলার অদ্ভুত এক নিয়ম তখন প্রচলিত ছিল পাশার দানে তালুক/মৌজা রেখে খেলতে হতো যিনি জিতে যেতেন তিনিই সেই জমির মালিক তিনি হতেন আর এভাবেই রাজা/জমিদারদের রাজ্য বিস্তার চলতো একদিকে রাজ্য বিস্তার অন্যদিকে রাজ্য খোয়ানোর কাজটা খুব ভালো করেই চলতে থাকে আর এভাবেই কিছু কিছু মৌজা বা জমির মালিকানা অন্যদের হাতে চলে যেতে থাকে কখনো সেটা কয়েক একর থেকে শুরু করে কয়েকশ পর্যন্ত হতো মোঘল আমল ও ব্রিটিশ আমল শেষ হলেও সেই সব অঞ্চল এর দায়দায়িত্ব থেকে যায় অধিকৃত রাজা/জমিদারদের হাতে একসময় জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়ে ব্রিটিশ ও এ দেশ থেকে চলে যায় জন্ম নেয় প্রথমে দুটি দেশ ভারত ও পাকিস্তান এর পরে বাংলাদেশ কিন্তু জমিদারদের অধিকৃত বা বাজিতে জিতে যাওয়া মৌজা বা তালুকের দখল কোন পক্ষের কাছেই যায়না এটা হয়ে পড়ে পরিচয়হীন একটা ভুখন্ড যার একটা শাসন কর্তা ছিল কিন্তু দেশ ভাগের পর সেই শাসনকৃত অংশে আর তাদের শাসন এর বিস্তৃতি থাকেনা কেননা তাদের অধিকৃত ভুখন্ডে আসতে অন্য দেশের উপর দিয়ে আসতে হয় এভাবেই সেই ভুখন্ডের দখল দারিত্ব তাদের হাত থেকে ফসকে যেতে থাকে অন্য একটি দেশের উপর জন্ম তাদের সংস্কৃতি তাদের অর্থ ও কর্মসংস্থান কোনটাই তৈরী করা যায়নি আর এভাবেই তাদের দুদর্শা চলতে থাকে তারা মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে থাকেনকিন্তু সেই সব অধিকৃত জায়গা থেকে যায় মালিকানার বাহিরে এভাবেই জন্ম নেয় ছিটমহল  দেশের বাইরে অন্যদেশের জমি সীমানা প্রাচীর না থাকলেও দখলে থাকে অন্য দেশের এমন টাই হয়েছে দাসিয়াছড়া দহগ্রাম ও অন্যান্য ছিটমহলের ক্ষেত্রে ছিটমহলবাসী যারা আছেন তারা একটা ভুখন্ড পেলেও সেই ভুখন্ডের স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারেননা সেই সাথে দেশের কোন নাগরিক সেবাও তারা পাননা  এই ভুখন্ড এর মালিক অন্য একটি দেশ কিন্তু সেই দেশের পরিবেশ অর্থনীতি সংস্কৃতি সব কিছুই ভিন্ন ভিন্ন এই দুই সংস্কৃতির মাঝে তাদের জীবন ভাবতেই কেমন জানি লাগে এদের শোষন এবং বঞ্চনার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ সেই ইতিহাসের আছে শুধু বঞ্চনার গল্প এই বিশেষ অঞ্চলের মানুষের আত্নীয়তা নিজের মধ্যে বিস্তার সব চলতে থাকে শুধু বিশ্বাসের উপর এদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের বেশী ভাগ স্বজনরা এ দেশে নেই আবার অনেকে জানেনই না কোনদিন বা কোন সময় তারা এ দেশ ত্যাগ করে চলে গেছে  তা কেউ বলতে পারেনা

Thursday, June 27, 2024

লাশ

 

একদিন কাক ডাকা ভোরে রাতের আড্ডা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমার বাসা নদী এলাকায় । বাড়ির চারদিকে নদী। সেই নদীতে এক সময় বড় বড় মাছ থাকলেও এখন আর তা নেই এ নিয়ে আসলে ভাবনার ও কিছু নেই, মানুষ যে হারে মাছ আহরোন করে ঠিক সে পরিমান মাছ এখন নেই। প্রায় দিনই গল্প আড্ডায় রাত কাটিয়ে বাসায় ফিরি সেই নদীর ধার দিয়ে তেমন কিছু কখনোই চোখে পড়েনি। এ নদীর সাথে যে আমার জন্মের সম্পর্ক । সেদিন আড্ডা শেষ করে যখন ফিরছিলাম তখন মাঝরাত এর শেষ দিকে হবে হয়তো এটা আমার ধারণা কারন মোবাইলে পর্যাপ্ত চার্জ না থাকায় হালকা চাদের আলোয় ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে দিয়ে নদীর পাড় দিয়ে হেটে ফিরছিলাম। কোথাও তেমন কোন শব্দ নেই। সারারাত ঝিঝি পোকারা চিৎকার করে এখন ক্লান্ত সবাই বিশ্রাম করতে গেছে। শুধু বিশ্রামে নেই আমি আমি একমনে হাটছি, হঠাৎ দেখি সামনে একদল লোক তারা কি যেন নিয়ে হাটছে আমার সামনে দিয়ে। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিনা আসলে কি নিয়ে যাচ্ছে আমি দেখার চেষ্টা করতে লাগলাম। বেশ কয়েকটা লোক তাদের একেক জনের প্রস্তুতি একেক রকম। কেউ খুব আবেগে গদগদ হয়ে আচে কেউ সেই অস্পষ্ট বস্তুর ভারবহনে ক্লান্ত কিন্তু সে ভার অন্য কাউকে দেবার ইচ্ছে মতন ভাব আছে কিন্তু দিতে পারছেনা । হঠাৎ বিকট কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম। আবার ফিরে তাকাতেই কোথায় যেন সেই কান্নার শব্দ মিলিয়ে গেল। আমার সামনে যে মানুষগুলো দেখছি তারা কেমন জানি মায়া কান্নার মতন ভান করে কান্না শুরু করলো। তখনো ও আমি তাদের অনুসরন করে চলেছি। তাদের কেই একজন এবার আমাকে দেখে ফেলেছে এমনটা মনে হলো আমার  তারা নিজেদের মধ্যে কি যেন বলাবলি করছিল । আবার সেই কান্নার সুর তবে এবার সেই জোরালো কন্ঠে নয়। মৃদ্যুসুরের যে কান্নায় প্রিয়জনকে শেষ বারের মত বিদায় দিতে গিয়ে যে কান্না হয় সে রকম । আমি চেষ্টা করছি তাদের ধরতে তাদের সাথে কথা বলতে আমার প্রবল আগ্রহ তাদের সেই ছোট ঝুলিতে কি এমন আছে যার জন্য এত রাতে তারা বের হয়েছে। নদী এলাকায় রাতে লাশ নিয়ে যাওয়া যে ভালো না তা নদী এলাকার সবাই জানে তবু কেন তারা এই সময়ে যাত্রা করছে এটাই আমার জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। এর মাঝে সময় অনেক কেটে গেছে এবার আমি আরেকটু অবাক হলাম হালকা চাদের আলোয় ৫-৬ বছরের একটি ছোট বাচ্চা মাথায় ঝাকড়া চুল সেই ক্লান্ত শ্রান্ত লোকটার কোল তেকে নেমে তাদের সাথে হাটা শুরু করলো । আমি তখন ভাবলাম এরা হয়তো চোর বা অণ্য কোন শ্রেনীর মানুষ হবে। আমি দৌড়াতে থাকলাম কিন্তু যতই কাছে যাচ্ছি তারা আমার থেকে দুরে চলে যাচ্ছে। একটু তাদের কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম আপনাদের হাতে কি, তাদের মধ্যে হতে একজন অদ্ভুত ভঙ্গিতে জবাব দিল কি দেখবেন, সহ্য করতে পারবেন না । চলে যান আপনি না কেন কি এমন নিয়ে যাচ্ছেন দেখা যাবেনা, বিকট এক হাসিতে আকাশ বাতাস ভারি করে বললো লাশ মানুষের লাশ দেখবেন, কার লাশ জিঙ্গেস করতে বিরক্তি নিয়ে বললো আসেন আমি একটু সামনে গিয়ে দেখলাম একটা পরিচিত মুখ সেই ছেলেটিই তো যে কিনা দিন কয়েক আগে নদীর পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল তাকে পাওয়া যায়নি। তখন আমি একটু ঘাবড়ে গেলাম আমি আবার জানতে চাইলাম এতো পানিতে পড়ে মারা গেছে কিন্তু আপনারা কারা? এবার আর কোন প্রশ্নের জবাব দিল না হাটতে লাগলো আমি পিছু নিলাম কোন এক ঝাটকায় আমাকে ফেলে দিয়ে চলে গেল যাবার আগে অনেক রকমের কথা বলে গেল আমার ঠিক মনে নেই । সকাল বেলা আমাকে গহীন বালু চর থেকে কেবাকারা যেন নিয়ে এসেছিল। তার কিছু দুরে সেই ছেলের লাশ পাওয়া গিয়েছিল যাকে আমি দেখতে পেয়েচিলাম সেই ছেলে…….


Wednesday, March 27, 2024

আনন্দ হারানোর সংশকা

 

জানিনা এ স্বপ্ন যাত্রার শেষ কোথায় হবে মাঝে মাঝেই তোদের সাথে ঘুরতে বের হই দেশে হলে সমস্যা ছিলনা কেননা তোদের সাথে তো দেশে অনেক জায়গায় ই একসাথে ২৭ বসন্ত কাটিয়েছি তোদের সাথে বেশী ভালো মুহুর্ত আছে ইদার্নিং তোদের সাথে কেন জানি দেশের বাইরে বাইরে ঘুরি এটা আমি দেখী আমার ঘুমের ঘোর এত বেশী যে শুধুই তোদের দেখি সময় পাল্টছে আমি্ও চেস্টা করছি সময়ের পালে হাওয়া দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু ঘুরে ফিরে তোদের সাথেই ছুটে চলি অবিরাম এতে করে আনন্দে কাটে ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর ভয়ভয় লাগে এত আনন্দ যাদের কারণে তাদের কে কি ছেড়ে দেবার সময় হলো বুঝি তোদের ও কি এমন হয় নাকি আমার একাই এই সমস্যা হচ্ছে যদি বলিস তোদের নিয়ে বেশী ভাবি একারণে হয় তাহলে হতে পারে তবে এতটা ভাবনা ও মাথায় কাজ করেনা তোদের নিয়ে স্বপ্নের কথা এর আগে বলেছি কিনা মনে নেই তবে এখন যখন ই দেখী তিন পাপী একসাথে ঘুরে বেড়াচ্ছি নিজেদের সীমানা ছাড়িয়ে একদিনের স্বপ্নের কথা মনে আছে যে আমরা তিনজন মিলে কোথায় যেন যাচ্ছি সেটা মনে হয় দেশের বাইরে সেখানে কোন একটা ঝামেলা হচ্ছিলো কিন্তু আমাদের সেই ঝামলোই ছিল আনন্দের খোড়াক ভয়ের সাথে আনন্দ উপভোগ করছি কোন এক অজানা  লড়াইয়ে একসাথে লড়ছি মাঝে মাঝে বিপদ থেকে রক্ষার বা নিরাপদে থাকার জন্য কৌশল পরির্বতন করছি আর এভাবেই আমাদের ভ্রমন আরো বেশী রোমাঞ্জিত হচ্ছে সেখান থেকে অন্যকোন দেশে আমাদের কাছের কিছু বন্ধু যারা প্রবাসে থাকে তাদের সাথে দেখা করছি কোন এক ঘুটঘুটে অন্ধকারে আলো জ্বালানোর প্রচেষ্টা করেই যাচ্ছি সে কি আনন্দ এত আনন্দ উপভোগ করে যখন ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন দেখি সব ফাকা আর আমার স্বপ্নের পথে আমি অনেকটা  পিছিয়ে কোন লক্ষণ নেই সেই স্বপ্ন পুরনের আবার অন্য দিনের কথা বলি সেটা খুব বেশী দিন আগের কথা নয় রাতে অনেক সময় ঘুম কম হয় শুয়ে থাকলেও মাঝে মাঝে ঘুম আসেনা. এমনি ভাবে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি জানিনা্ ঘুমের মাঝে আবার সেই পুরোনো রোগ ঘুরাঘুরি এবার ও সেই যাত্রা আমাদের নিজের দেশের সীমানা ভেদ করে বাইরে যাওয়ারর চেষ্টা স্বপ্ন অনেক সুন্দর হয় আসলে মানুষ যতই খারাপ হই না কেন স্বপ্ন সুন্দর আমার স্বপ্নের কথায় আসি দেখছি দেশের কোন একটা অঞ্চল এ আমরা ঘুরছি অনেক আনন্দ করছি পরে হাটতে হাটতে নিজ দেশের সীমানা পার হয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছি আড্ডা মারতে মারতে কোন ভীতি নেই নেই কোন সংকোচ উৎকন্ঠা কেনাটাই নেই কোথাও গেলে আমরা যা করি এর শেষ দেখার চেষ্টা করি সেটার করার জন্যই সামনে এগিয়ে যাচ্ছি অনেকটা আমাদের গ্রামীন জীবনের মত তবে আনন্দ অনেক বেশী  নদীতে পাহাড় এর এর মাঝে তিন দেশের সীমানা অনেক আনন্দ করছি তোরা সাথে আছিস তোরা থাকলে আনন্দ অনেক গুন বেড়ে যায় সেটা যেকোন সময় ভালো কিংবা খারাপ যেটাই হোক না কেন

 

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ২৭ বসন্ত শেষ করছি পায় এখন কি এই আনন্দগুলো শুধুই আমাদের পিছনের স্মৃতিগুলোকে উসকে দেবার জন্যই নাকি না এর অণ্য কোন অর্খ আছে আমি জানিনা এর কি অর্খ হতে পারে আর কেনইবা এরকম মিথ্যা আনন্দ এ ভাসি (এখনও কোন কিছু সত্যি নয়) সময় তো শেষ পায়, গানের ভাষায়বেলা গেল আপন বাড়ি চলচলছে কোন পথে জানিনা জানতে ইচ্ছে করে আমরা কি এই আনন্দ যাত্রার শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে নাকি নতুন কোন উপলক্ষ (আনন্দ) অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য কোথা থেকে আনন্দ শুরু হয়েছিল মনে নেই তবে দিন যত গেছে আমরা  ততটা কাছে এসেছি তত আমাদের নিজেদের দায়িত্ব বেড়েছে বুঝতে পারিনি আসলে বুঝতে চাইনি বোধ হয় এমন একটা সেময় আসবে যে সময়ে নিজেদের কে নিয়ে ভাবতে হবে সেটা আবার শুধই নিজেরে জন্য সেখানে আমাদের বলে কোন কিছু থাকবে না যেখানে শুধুই আমিময় জীবন আমিময় জীবন বড় নিরানন্দময় বলে আমার কাছে মনে হয় ফেলে যাওয়া সময়কে ধরে রাখতে চেষ্টা করা যায় কিন্তু ধরে রাখা যায়না জীবনবোধের এই সময়ে এখন শুধুই আনন্দে ভাটার শব্দ্ কোথাও আনন্দের জোয়ার নেই আমার অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে শুধুই কি এই নিরান্দ আমার জন্যই নাকি বাকিদের ও আনন্দ হারোনোর ভয় কাছে পথ হারিয়েছি বলেই কি এত আশংকা সময় পাল্টায় আমরা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনেই বেশী পাল্টাই বলে আমার ধারনা একসাথে অনেক বছর চলা যায় অথচ আসন্ন সম্ভবনাকে পুজি করে কত কিছু ছেড়ে দিতে হয়এত কিছু ছাড়তে ছাড়তে একটা সময় নিজে থেকেই নিজে দুরে কত দুরে চলে গেছি , এটা বুঝতে যখন থমকে দাড়াই তখন দেখি সময় পাল্টে গেছে আমি আর কারো জন্য না বা কেউ আমার জন্য না সবাই আছে শুধু আমিই অপরিচিত সময়ের কাছে নিজের কাছে আপনজনদের কাছে

স্বপ্ন দেখি আর স্বপ্ন আমাকে ভাবিয়ে তোলে আমি নিজেকে সংবরন করার চেষ্টা করি নিজের থেকে নিজেকে গুছিয়ে চলবার জন্য নিজের আবেগ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখার জন্য সবে চেষ্টা একটা সময় ব্যর্থ প্রচেষ্টায় পরিনত হয় যখন দেখি আমার জায়গায় শুধু্আমি নিজেকে ছোট মনে হতে থাকে নিজেকে গুছিয়ে নিতে ইচ্ছে করে গুছিয়ে নিই মাঝে মাঝে তবে যে জীবনে অগোছালো ভাবটা একবার লেঘে গেছে তাতে কি গুছিয়ে চলা এতটাই সহজ আমার তা মনে হয় না তাই তো সকল আনন্দ ও মাঝে মাঝে বিষাদে রুপ নেয় তোদের সাথে অগোছালো জীবনকেই খুব বেশী উপভোগ করি তবে সেটাও বোধ হয় শেষ পথে এবার নিজের দিকে ফিরতে হবে আমাদের সাথের মানুষদের কে নিয়ে ভাবতে হবে ভাবানায় ভাটা পড়বে আমার তোর আমাদের সম্পর্কের আমাদের চোখের সামনে আমাদের ভালো দিনগু্লো মরে যাবে এর চিৎকার শুনতে পারবো কিন্তু নিজেরা একে বাচানোর চেষ্টা করবো না বা করা হবোনা কারন সময়  পাল্টেছে আমরা পাল্টে যাবো নতুন আনন্দ এর সুচনা হবে নতুন কেউ আমাদের জায়গা দখল করবে** একদিকে মুছে যাওয়া দিনগুলির গান বাচতে থাকবে* সেটা অবশ্যই আনন্দের চেয়ে বেদনারই বেশী হবে

Thursday, February 8, 2024

অবমুল্যায়িত হবার গল্প

 অবমুল্যায়িত হবার গল্প। সময়ের সাথে অনেক গল্প চলে আসে , অনেক মুহূর্ত চলে আসে যেগুলো আমরা কেউ ই চাই না তবে হয়ে যায়। কোন কোনবাবে আমরা গল্পের সাথে মিশে যাই । এর মিশে যাওয়ার কারণেই চলে আসে নানান রকমের চাওয়া পাওয়ার গল্প। আমাদের মুস্তিষ্ক এর সাথে এর বিশাল যোগসূত্রও আছে বলে আমি বিশ্বাস করি।আমার কথা কেউ মনে রাখবে না জেনেও নিজেকে অণ্যর মনের উপর জায়গা নিজে নিজে জায়গা দিরেত চাই। এর ফল স্বরুপ আমাদের দীর্ঘ সময় বোগ করতে হয়। আমাদের ছোট ছোট গল্পগুলা একদিন পূর্ণতা পাবে। সেই আশায় দিনগুনতে থাকা মানুষগুলা যখন কিছু পায়না তখন বিশ্বাসটা ভেঙ্গে যা্য়। আর বিশ্বাস এমন একটা জিনিসি যেটা ভেঙ্গ গেলে আর ফিরে পাওয়া যায়না। আমি বিশ্বাস কর িযাদরে সাথে আমরা একসুত্রে গাথা হিসেবে চলাফেরা করি তাদের কাছ থেকে এটা আশা করা অন্যায় কিছু বলে আমার মনে হয়না । এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিওয়া বলেইে মনে করি। আমি হয়তো আমার লেখায় আমার পক্ষে হাজারোটা  যুক্তি পাবো এটা যেমন ঠিক তেমনি অনেক বেশীই কি প্রত্যাশা করে ফেলি?  আমার লেখা এবং বলায়

Monday, February 5, 2024

সংকটে সমাধান কোথায়?


 

বারবার কেন জানি আমরা একটুৃ বেশীই মানুষদের আপন করে ফেলি। পাশের দেশের মানুষের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক এটা ভালো থাক সবসময় এটা আমরা চাই তবে নিজের সব দিয়ে কেন? নিজের সার্বভৌম হমুমকির মুখে ফেলে কেন বার বার আমরাই দান করে যাই । সময়ের বেড়াজালে আমাদের অভ্যন্তারীন দন্দ্ব এবং এর সাথে অনেক ঘটনার কারণে যদি নিজেকে বারবার বিপদের দিকে ঠেলে দেই সেটা খুব বেমী ঝুকি বয়ে আনতে পারে । আমাদের সীমান্ত নীতি আমাদের রাস্ট্রীয় নীাতি সব কিছুতেই নিজেদের স্বার্থকে একটু ভেবে দেখা উচিত বলে আমার মনে হয়।রোহিঙ্গা সমস্যায় আমরা এমনিতে জর্জরিত। তার পরে আবার নতুন করে সেই দেশের সেনাদের এইদেশে আশ্রয় দেওয়া আমাদের বিপদকে আরো কঠিন করে তুলবে। আমাদের দুর্বল ও মানবিক পাররাস্ট্রনীতির কারণে আমাদের দেশে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া হয় কিন্তু প্রায় ৫ বছর এর উপরে হয়ে গেছে কোন রোহিঙ্গা কে সে দেশে পাঠানোর কোন ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি । এবার যারা আসছেন তাদের কে নিয়ে সংকট আরো বাড়বে বলে মনে হয়।



Saturday, December 23, 2023

আমি রাস্তা হারিয়েছি

  আমাই রাস্তা খুজে পাচ্ছি না। কেও একটু রাস্তা খুজে দিবেন । জিবনের অনেক দূর হাটার ইচ্ছে ছিল কিন্তু এখন সুধুই অন্ধকার দেখি । যে আমি নিজেকে অনেক মেধাবি আর প্ররিস্রমি ভাবছি সেই আমি নিজেকে হারিয়ে খুজে বেরাচ্চি । আমার আমি কে খুজে পাচ্ছি না । দিনের এত আলোর মাঝেও নিজেকে খুজে পাইনা । আমার নিজেকে খুজে পাওয়ার খুব বাসনা কেও কি আমাকে দেখছেন। যদি আমাকে খুজে দেন হয়ত আমার সপ্ন বেচে যাবে আমিও ঘুরে দারাতে পারবো। 

Monday, November 13, 2023

শুধুই হতাশা

 

নিজেকে অনেক সময় অসহায় মনে হয়। প্রকৃতি এর খেলায় বার বার কেন হেরে যাই বুঝি না ? জীবনে যত কিছু চেয়েছি তার মাঝে বড় গুলো না পেয়ে ছোট গুলো পেয়ে গেছি । এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে মন যে বড় গুলো করতে চায়। করতে চাওয়ার চেয়ে বলতে হয় পেতে চায়। কিন্তু অনেক জায়গায় যোগ্যতা টা আর হয়ে ওঠেনা। সুধু হতাশা বারে সময়ের সাথে মিশে জেতে ইচ্ছে করে । কেন আমার হচ্ছেনা ? কোন জবার নেই।