দিনদিন কেমন জানি অনেকটা
বেহায়া দের মত হয়ে যাচ্ছি। কোণ কথা কোণ আচরণ কেন
জানি
আমাকে ছুয়ে যেতে পারে না । সব কিছুতেই কেমন জানি
একটা সান্ত্বনা
খুজে পাই , এর ফলে মুল কাজের প্রতি আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে
। নিজের পাশের মানুষ গুলো তীব্র
গতিতে যেখানে লক্ষ্য পোঁছানোর জন্য ছুটে চলছে , চলে যাচ্ছে দিক
দিগন্তের দিকে , সেখানে আমি পরেই আছি । শুধুই দেখে যাচ্ছি । কোণ ভাবাবেগ কষ্ট ভালোবাসা অনুভুতি নেই কাজের প্রতি ।আমি জানি
না কোথায় আমার শেষ গন্তব্য । এটা যে কেও বলতে ও পারবেনা
। কিন্তু শেষ টা তো সবাই রাঙ্গাতে চায় । আর শেষ রাঙ্গাতে হলে যা করতে হবে সেটা তো এই ছোট জীবনে শিখে
ফেলেছি। হয়তো সেটাও শিখতে পারিনি
। নাকি নিজের অজ্ঞতা ডাকবার জন্য সামনে পা বারাতে চাই না । হয়তো নিজেকে বড় ভাবি না হয়তো অনেক ছোট ভাবি । কোণ উত্তর নেই কনা অজানা দেওয়ালের কারনে আজকেই এই অবস্থার সৃষ্টি। যত বড় তীর আসুক না কেন কেন জানি আমাদের বদলাতে
কাজ করে না । মাঝে মাঝে অনুভুতি গুলো হিংস্র হতে বলে । আগের মত কোণ কাজের প্রতি ভালোবাসা নেই , অনুভুতি নেই , এগিয়ে
যাবার জন্য সবচেয়ে যে জিনিস টি দরকার সেটা হল মনোবল সেটাতেও
কেমন জানি চির ধরেছে । মাত্রাতিরিক্ত সান্ত্বনা দিতে
শেখার কারনেই হয়তো এমন
হচ্ছে । একদিনের অনেক ঘণ্টা
কেটে যায় অপচয় অবহেলায় । মাত্রাতিরক্ত
ভালোবাসা যেমন একটি সুন্দর ভবিসদ কে
নষ্ট করে দেয় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত সান্ত্বনা যেটা নিজে থেকে পাওয়া
যায় সেটাও নিজের ভবিসদ কে নষ্ট করে দিতে সক্ষম । যেমন আজকে যদি কেও আমাকে কথা দিয়ে আঘাত করে আমি তাকে কথা দিয়েই
আঘাত করতেই বেশি ভালোবাসি, বা আঘাত
এর জবাব দিয়েই শোধ করে দিতে বড্ড বেশি ভালোবাসি, আমরা কথার আঘাত
কিন্তু কাজ দিয়েও দিতে পারি কিন্তু সেটা দিতে হলে যে নিজেকে বদলাতে হবে সেটা আমাদের
দিয়ে হয়না । আমরা কাজ দিয়ে জবাব
দেওয়া যায় সেটা ভাবতেই পারি না । কথার আঘাত কাজ দিয়ে
দেবার মাঝে অনেক সফলতা বিদ্যমান । কেও এর বিপরীত চিন্তা
নিয়ে মগ্ন থাই আবার কেও সেই পুরানো গান বাজিয়ে বলে থাকি এটা হবার ই কথা ছিল , বড় মানুষ , স্যার এরা বলবেই। এই চিন্তা করে আবার নিজেকে গুছিয়ে
নিই । এইভাবে কত দিন যাবে ? এই জন্যই সফলতা আমাদের ধরা দেয় না তাই সফলতা
আর আমরা অনেক দূরে ।।
অতিরিক্ত কথা নিজের গায়ে
লাগানো অপরাধ
ঠিক কথা গায়ে না লাগানোও নিজের জন্য অনেক বড় রকমের অপরাধ । সাফল্য পেতে হলে কিছু জিনিস ছেড়ে দিতে হবে । কিন্তু আমরা ছেড়ে দিতে দিতে এমন অবস্থায় আছি , আর কিছু ছেড়ে এবার নেই তবুও কোণ আক্ষেপ নেই । আমরা জানিনা নিজেকে কিভাবে দমন পিরন করছি। নিজেদের সব চাহিদা ইচ্চা , জ্ঞান এর পিপাসা সবই
তো ছিল । এখন নেই কেন প্রশ্ন এর উত্তর কি আছে আমাদের কাছে
? এখন একটি কাজ করতে গেলে হাজারো প্রশ্ন হাজারো কথা চলে আসে । আজ কাজ এর অন্তরায় । কোণ এক অজানা দেওয়াল এসে পড়ে কাজের সামনে আর হাত দেওয়া হয় না
। নিজেকে গুছিয়ে রাখতে রাখতে এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে এখন নিজের
জ্ঞানের বাইরে কেও কোণ কিছু করলে সেটা পাকনামি খারাপ বলে মনে হয়। নিজের কথার উপর জ্ঞানের কোণ বিচার নাই করেই সিধান্ত দিয়ে থাকি
। আবার অনেক সময় কথা গুলো এরিয়ে যাই । আমাদের সামনে যত ঘটনা ঘটে সব গুলো ই কিন্তু আমাদের শিক্ষা দেবার
জন্য ই ঘটে থাকে সাবধান করার জন্য । এর মুল অর্থ না বুঝে আবার গল্প আড্ডায় মেতে ওঠই। কেও যদি
মাদক নেই সে অনেক সময় মাতলামি করে থাকে এই থেকে আমরা অনেকই শিক্ষা নিয়ে
থাকি আবার অনেকই ভিন্ন মোট প্রকাশ করে থাকি । ঘটনা যাই
হক কেন সেটা
ফেলে দেবার কোণ উপায়
নেই কারণ কোণ ঘটনাই কারণ ছাড়া ঘটে না । সেটা ছোট হক কিংবা বড় হোক । শিক্ষা কিন্তু আছে এই মাঝে ।
আমরা কত কিছু পরিবশের কাছ
থেকে শিখে থাকি কিন্তু
কাজ এলাগাই না বলেই আমাদের এই অবনতি । এত গুলো
উদাহরন সামনে থাকার পরও কেন পরিবর্তন হই না জানতে ইচ্চে করে
না ? আমরা চাই সব সময় আমি যা বলছি সেটাই সবাই বলবে মানবে সবাই
আমাকে স্যার স্যার বলবে কিন্তু আমার জ্ঞানে কথায় আচরণে সেটা তো পাওয়ার কথা নয় । কারণ স্যার তাদের কেই মানুষ করে যাদের সব কিছুই
ভালো । আমরা হতে পারবোনা সেটা
না পারবো কিন্তু নিজের যে পরিমান জ্ঞান দরকার সেটা অর্জন
করার পর এর আগে চাওয়াটা
বোকামি ছাড়া কিছু নয় । কখনও কখনও অনেকের কথায়
আচরণে কষ্ট পাই কিন্তু সেটা খুব বেশি ক্ষনের জন্য নয় । যদি সেটাই হতো তবে নিজেকে পরিবর্তন করতে এতো অনিহা কেন
? অই যে কথা শুরু করেছিলাম সান্ত্বনা
এর ফল এটা । মনের কষ্ট
দূর করার জন্য সান্ত্বনা নিই সেই সান্ত্বনা এমন এক আঠায় রুপানতর হয়ে গেছে যে আমাদের পিছু ছারেনা। এ ভাবে আঁশটে পিষ্টে লেগে আছে যে আমাদের সকল দুঃখ কে ভুলিয়ে
দেয় । কাজের প্রতি অনিহা তৈরি করে নিজের সাফল্য এর দিক থেকে তত দূরে ঠেলে
দেয় । এই অবস্থা যত দিন চলতে
থাকবে তত দিন সাফল্য এর মুখ দেখা যাবে না । আপনি যেখানেই থাকুন না কেন নিজেকে বড় করে মেলে ধরার
চেষ্টা করুন । কাওকে দেখে এগিয়ে যান
সাফল্য আসবে । বড় কথা
হল আমাদের কথা এরিয়ে যাবার অভ্যাস টা ত্যাগ করুন । সাফল্য এর জন্য ।
এন্টিবডি যেমন দেহের রোগ
প্রতিরোধ এর জন্য ভালো তেমনি সান্ত্বনা ও স্মানে এগিয়ে যাবার জন্য ভালো । তবে খেলায় রাখতে হবে সেটা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায় ।
****** এন্টিবডি যেমন দেহের
রোগ প্রতিরোধ এর জন্য ভালো তেমনি
****সান্ত্বনা ও সামনে
এগিয়ে চলার জন্য ভালো কিন্তু বেশি সান্ত্বনা ভবিসদ এর জন্য ততই খারাপ ****
সান্ত্বনা ও সামনে এগিয়ে
চলার জন্য ভালো কিন্তু বেশি সান্ত্বনা
ভবিসদ এর জন্য ততই খারাপ
অসাধারণ ভালো লেখেছেন, লেখায় একটা টান আছে ভীষ, তবে বানানের দিকে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে😎 ধন্যবাদ
ReplyDelete