Tuesday, May 11, 2021

ঈদ আমাদের নতুন দিনের সন্ধান দেয়

 ঈদের মানে বুঝি কি? না। তা–ই নিয়ে এ নিবন্ধ। আল্লাহ যখন দুটি ঈদ দিলেন মুসলমানদের জন্য, তঁাদের অনেকেই ভাবলেন ৩০ দিন না খেয়ে ও সারা রাত ইবাদত করে একটি দিন আসবে যখন সকালে উঠে যেতে হবে ঈদের মাঠে। তারপর? ঈদ শেষ হলো। এতে খুশি কোথায়, আনন্দ কোথায়? এ তো শুধু আত্মনিবেদন, নিজের নিগ্রহ, শুধু দেওয়া, এখানে তো নেওয়ার কিছু নেই। এটাই বোঝার ভুল। দেওয়ার মধ্যেই আনন্দ, দেওয়ার মধ্যেই সুখ, দেওয়ার মধ্যেই ঈদের প্রকৃত সম্মান, সেটি আমরা বুঝতে পারিনি। ঈদের মাঠে অসংখ্য ভিক্ষুক দাঁড়িয়ে থাকে সামান্য একটু খাবারের প্রত্যাশায়। আমরা নতুন কাপড়চোপড় পরে, আতর লাগিয়ে, চোখে সুরমা দিয়ে আলিঙ্গন করি দুটি ঈদকে। এখানে কতটুকু স্বার্থত্যাগ, কতটুকু জীবনের সাধের জলাঞ্জলি, তা কি ভেবে দেখেছি? এখানেই ঈদের আনন্দ লুকিয়ে আছে।

পৃথিবীর বাইরে যা কিছু, সবই লুকোনো। আল্লাহ যা দেবেন আমাদের স্বার্থত্যাগের বিনিময়ে তার শত ভাগের এক ভাগও কোথাও লেখা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে তোমাকে এমন কিছু দেব যা তোমাদের কল্পনার অতীত। বিধর্মী লেখকেরা এটাকে হাস্যকর করে উপস্থাপন করার চেষ্টায় নিয়োজিত প্রথম দিন থেকেই। কখনো হুর পরি, কখনো গেলমানদের অন্যায় দৃষ্টিকটু উপমা স্থাপন করে। তা তো নয়। আল্লাহ চেয়েছেন পরিপূর্ণ সুষমায় পরিপূর্ণ আনন্দে আমাদের ভাসিয়ে দিতে। সেখানে কোথাও জাগতিক দৈহিক সুখের কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে, এমন সুখ যা পৃথিবীতে কেউ কল্পনাও করেনি। নর-নারীর জৈবিক সুখ এর কাছে কিছুই নয়। বংশবৃদ্ধির প্রয়োজনে যে মিলনটুকুর সঙ্গে আমাদের পরিচয়, তা এর কাছে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত।

Wednesday, February 26, 2020

সময়ের সাগরে আমাদের ঘুম


সময় অনেক কম তাই মনের কথা গুলো মনের ভিতরে লুকিয়ে না রেখে কাজ করা উচিত আমরা কেও জানি না কয়দিন আমরা বাঁচবো আমাদের ইহজাগতিক কিছু লক্ষ্য আছে সেই সাথে আমরা সবাই পরপারেও ভালো থাকতে চাই আমাদের পরিকল্পনা প্রতিনিয়ত  তৈরি হয় আবার কিছু মুহূর্ত পরে সেই   আশার বাধ  ভেঙ্গে যায় চোরাবালির মত আমাদের স্বপ্নের অবস্থা কারনেই সময়ের সাথে  সাথেই আমাদের স্বপ্নের যেমন জন্ম হয় ঠিক তেমনি  স্বপ্নগুলোর মৃত্যু ঘটে কোন স্বপ্নই যত্ন পায় না অথবা যত্ন দেবার মত চিন্তাই আমরা করিনা জন্যই জীবনের শেষে আমাদের অর্জন কিছু টাকা পয়সা অর্থ বিত্তের সাথেই তুলনা করা হয় অর্থ বিত্ত আমাদের একমাত্র অর্জন  হিসেবে জমা থাকে অনেকে এই অর্থ বিত্ত না করতে পেরে নিজেকে তুচ্ছ মন করে থাকেন নিজের কর্ম নিজের অবস্থানের উপর প্রতিদিন আফসোস করতে থাকেন অথচ এই ছোট  জীবন পেয়েও কত মানুস আমাদের মনের ভিতর জায়গা করে নিয়েছে নজরুল সুকান্ত লালন এরা তো কেও হাজার বছর আয়ু পাননি তাহলে কিভাবে মানুষের মনে আঁচর কাড়লেন . আমাদের ধর্মীয় প্রতিনিধি জারা ছিলেন তাদের অর্থ বিত্ত তেমন ছিল না । অথচ  পৃথিবী তাদের সন্মানের আসনে বসিয়ে রেখেছে। অল্প জ্ঞানে যতটুকু জানতে পেরেছি, তারা কখনই অর্থের পিছনে ছুটেন নি তারা কখনই আভিজাত্য এর জন্য প্রাণপণ লড়াই করেন নি । তারা মানুসের জন্য কাজ করেছেন  সৃষ্টি কে সেবা করেছেন বলেই হয়তো এখনও তারা  পৃথিবীর বুকে বেচে আছেন বেচে থাকবেন । আমাদের হাতের সময় শেষ দিকে   সময়ের মাঝে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে পরিকল্পনার সাথে কাজের যে সমন্বয় তা দরকার । আমরা আজ না কাল এখন না পরে এই করে এভাবেই  দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কন মাথা বাথা  নেই । কেন নেই ? আমরা হয়তো বুঝতে চাই নি  যে চলে যাব আর  এটা জদি মেনে নিই তাহলে আমাদের কাছে  অর্থ বিত্তই সব এই সব দিয়ে চিরদিন বেচে থাকব । 


আর এটাও জদি বিশ্বাস না করি তাহলে বলতেই হবে নিজের অর্জন কিসে  সেটা জানিনা । কিভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে কিভাবে নিজের অর্জনকে বৃদ্ধি করতে হবে , আর কি করলে মহাকাল আমাদের মনে রাখবে সেই কথা কাজ অর্জনের বিসয় জানিনা বলেই হয়তো নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি । সময়ের  স্রোতে যখন সময় যে দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমরাও সে দিকেই ছুটে চলছি । এভাবে আর কত কোথায় যাচ্ছি সেটা কি কখনও ভেবে দেখেছি।
*** কাল বলতে কোন কিছু থাকবে তার কোন নিরশয়তা নেই । অপেক্ষা না করে আজকেই ঝাপিয়ে পড়ুন । যদি কালকে সময় পান ত ভাল যদি না পান তারপরও জেন কিছু অর্জন থেকে জায় ।***
*** মনের ভিতরে যখন এখন না পরে করব এই এই ভাবগুলো যদি কখনও আসে ভাববেন আপনি ক্ষতির সমুক্ষিন হচ্ছেন । কারন আমি আপনি কেউই জানিনা আমাদের সময় কত ?  

Tuesday, February 4, 2020

এত ফেল তবুও আশা বেচে থাকে

কলেজ জীবন থেকেই আমাদের সবারই স্বপ্ন থাকে । শেষ করেই চাকরি করবো । একটা ভালো চাকরি ভালো সন্মানের চাকরি । কিন্তু পাস করার পর বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু চাকরি ধরা দেয়না । এত অভিমান করতে জানে যে সেটা অনেক সময় মানের চেয়েও ঢের বেশি । কিছু সময় তো সেটা সহ্য করার অবস্থাও রাখেনা । জীবন অ থেমে থাকে না তবে একটু কষ্টে কখনবা হতাশায়  ডুবে থাকে , তবুও জীবনের আশারা বেচে থাকে চরম হতাশার মাঝেও

Monday, February 3, 2020

যাচ্ছি কোথায় ?


সব কিছু কেমন জানি বদলে যাচ্ছে সেই সাথে বদলে যাচ্ছি আমরা সবাই । নিজের প্রয়োজনে কখনও অথবা অপ্রয়োজনে দু ভাবেই বদলে যাচ্ছি । হয়তো এমন একটা সময় এসে পড়বে যখন আর বদলনর কিছু থাকবেনা । ঠিক তখন কি করব ? এটা কি ভেবে দেখেছি । সবার ভাবান্য কি এক অদ্ভুত মিল খুজে পাওয়া যায় । সবাই নিজের মত করে ভাবে ।  দিন দিন সমাজের মানুষ গুল নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে এখন এমন এক পর্যায় এসে পরেছে যে কোন কিছুই আর তাকে স্পর্শ করতে পারছেনা।  সবা ভাবনাই সে নিজেকে খুজে ফেরে কোথায় কিছু নেই   নিজের স্বার্থ ছাড়া । এভাবে আর কত যে পথ পারি দিতে হবে । কে জানে এই  প্রথিবি যে কত  মানুসের কাছ থেকে  সন্মান কেরে নিবে । কত যে অযোগ্য লোক দেরসন্মান দিবে কেও জানিনা । তবে এমন দিইন আসলে ভালো কেও যে থাকতে পারবোনা সেটা বুঝাই যাচ্ছে ।

Sunday, January 5, 2020

কেন বইয়ের সাথে এত দুরুত্ত্ব ?

বর্তমান সমাজের আমরা বইয়ের  সাথে  এত  দুরুত্ত্ব    তৈরি করে ফেলেছি , যে অন্য কোণ বস্তুর সাথে এতো দুরুত্ত্ব   তৈরি হয়নি বইকে দূরে  সরিয়ে দিয়ে যে বস্তুগুলো পরম মমতায় কাছে নিয়েছি , সেই বস্তু গুলো আমাদের  যেঁটুকু দিচ্চে এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমানে কেড়ে নিচ্চে আমরা বুঝতেই পারছিনা কোন জিনিস গুলো আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে   দূরে চলে যাওয়া  বিষয়গুলো খুজতে হলে যে আমাদের ভাবতে হবে, সেটা ভাবতেও নারাজ বই মানুষের মনের কথা বলে বই মানুষের মেধা বিকাশের হাতিয়ার একমাত্র বই পারে আমাদের  মননশীল হতে কিন্তু যুগের বিবর্তনের ফলে এখন আমাদের হাতে আর বই নেই বই না থাকার ফলে এই সময়ের মানুষগুলো আর ভাবতে চায়না , চিন্তা করতে চায়না ,পড়তেও  চায়না তাদের ভাবনায় আলোড়ন সৃষ্টি করে না , এর ফলে নুতুন কিছু মাথায় আসেনা অথচ একটা সময় বই ছাড়া কিছু 


ভাবা  যেত না বর্তমানে অনেক কিছুই আমাদের কাছে আছে যেমন মোবাইল ফোন ল্যাপটপ এই গুলো ব্যবহার করেও পড়তে পারি কিন্তু এই  সবের মাধ্যমে পড়লে চিন্তা করার জায়গাটা অনেক কম কেননা একদিকে বই পড়তে গেলে যেমন মনোযোগ দরকার ঠিক মোবাইলে এই মনোযোগ ধরে রাখা অনেক কষ্টকর মনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আর পরা হয়না পড়া হয়না বলে জানা ও হয়না আমাদের জ্ঞানের বিকাশ ও হয়না বই মানুষকে ভাবতে সাহায্য করে সমাজ ধর্ম বিজ্ঞান রাজনীতি সব জ্ঞান ই তো বইয়ের  ভিতরে থাকে  সেই জ্ঞান অর্জন করে বাস্তবে  প্রয়োগ করলেই তো সুন্দর সমাজ গঠন করা সম্ভব যখন কেও বই পড়তে থাকে তখন সে একদিকে পড়ে অন্নদিকে একটা চরিত্র তৈরি করে এভাবেই একটার পর একটা চরিত্র  তৈরি করতে থাকে সমাজের মানুষের অবস্থা নিজেদের অবস্থা কারা উন্নত কিভাবে উন্নতি করেছে এইসব মাথায় খেলা করতে থাকে এই জ্ঞান কাজে লাগালেই তো সমাজের সব ঝামেলা দূর হয়ে যায় আমরা বই পড়ে অর্জিত  জ্ঞানের মাধ্যমে একটা  সমাজকে পরিবর্তন করতে পারি আমরা বিভিন্নও অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে বই দিতে পারি মানুষকে বই পড়তে  উৎসাহিত করতে  পারি  সময় পেলে  বিভিন্নও লেখক এর লেখা পর্যালোচনা করতে পারি একে অপরের নিন্দা না করলে  বই নিয়ে কথা বলতে পারি একদিকে আমাদের মহামূল্যবান সময় অপচয় হল না অন্নদিকে আমাদের জ্ঞানের পরিসীমা   বাড়বে আমরা অন্যর কথা আচরণ নিয়ে  মজা করতে ভালোবাসি যেটা করা  ঠিক নয় আমরা মজার বস্তু হিসেবে  অন্নের  কথা না বলে কোণ লেখক এর মজার গল্প বলতে পারি আমরা মানুষের সম্পকে সমালোচনা করতে ভালোবাসি , এই ভালবাসাটা যদি কোণ লেখকের বই এর সমালোচনা করতে  কাজে  লাগাই তাহলে একদিকে যেমন আমাদের জ্ঞানের পরিসীমা বাড়বে ঠিক তেমনি আমি আপনি একদিন অনেক ভালো সমালোচক ও হতে পারি যেনে বুঝে সমালোচনা করার মাঝেও তো মহত্ত্ব আছে সেই মহত্ত্ব সত্যকে প্রকাশ করার সেই মহত্ত্ব নিজের ভালো রুপ কে প্রকাশ করার আপনি লিখতে পারছেন না কোণ সমস্যা নেই আপনি জ্ঞান অর্জন করে থাকলে সেটা বলতে তো পারবেন হয়তো আপনার কথা শুনে কেও  পরিবর্তনের ডাক দিবে একদিন  ভালো ভালো কাজ মানুষ করবে বই পড়ার  অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন নিজে জানুন অপরকে জানতে সাহায্য করুন বই  মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে আগামি দিনের বই হোক সবার  সঙ্গি 

Tuesday, November 26, 2019

এক কিশোর স্যার এর ডায়েরি



আমি যখন কলেজ এর শিক্ষক ছিলাম সেই দিনের কথা মনে হচ্ছে এখন আমি সেই আগের জায়গায় আছি। কিন্তু একটু নিজেকে পালটিয়ে । যেটাতে বলা যায় একটা মুষ্টি বদ্ধ চিন্তাভাবনা নিয়ে । আসলে জীবনের এই পড়তে পড়তে যে কত রহস্য লুকিয়ে থাকে সেটা তো কেও বলতে পারে না । রহস্য আছে  বলেই তো  জীবন এতো মধুর ভালোবাসা ময় । দেখতে দেখতে অনেক গুলো দিন চলে গেছে ।  অনেক দিন হল দেখা হয় না । সময়ের স্রোতে কখন যে অনেক গুলো বছর কেটে গেছে জীবন থেকে কেও বুঝতেই পারিনি । আমি তখন সবে শিক্ষকতা শুরু করেছি ।  কতই বা বয়স হবে আমার খুব বেশি নয় অফিসে সবার চেয়ে ছোট । তবুও রাগে গর্জে সবাই কে মাতিয়ে রাখি । শিক্ষক দের কাছে আমার তেমন কোণ অভিযোগ ছিল না। অনেকই হয়তো বলতো কিন্তু সেটা আমি নিজে শুনি নাই । আসলে জীবন তো তখনই মধুর যখন কেও আপনার কথা বলবে কিন্তু আপনি জানবেন না । ছাত্রছাত্রী দের কাছে একটা সময়  পর্যন্ত আমি ছিলাম একটা সাধারন মানুষ । দিন যত গড়াতে লাগলো ততই কেমন জানি নিজেকে স্বরূপে ফিরে পেতে লাগলাম । খুব অল্পও সময়ে   একটা জায়গা দখল করে নিলাম । কেও ভাবতে পারেনি আমি নিজেও না । এতো বড় জায়গা আমি পাবো সামান্য  ডিপ্লোমা পাস করা মাস্টার হয়ে । সময়ের   বাবধানে শুধু ভালবাসাটাই বাড়তে থাকল । একটা সময় সেই ভালোবাসার মাঝে থেকে দেখতে পেলাম এক দল ভিন্ন পথে ভুলে পথে যাত্রা শুরু করেছে । চেষ্টা করছি  সাধ্য মত পারছি না । নিজের অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখে 


সামনের দিকে চলতে পারছি না । কারণ  আমি তো এখন অদের শিক্ষক অদের সব ভালোলাগা ভালো পথ  ধরিয়ে দেওয়া সেটা আমার  দায়িত্ব। তাই তো সময়ের ফাদের  পড়ে নিজেকে একটু একটু করে  আরাল   করার চেষ্টা । অদের কে  কঠিন ভাবে বুঝানো । কিন্তু অদের কে আমি বুঝাতে আর পারলাম না । কেন পারিনি সেটা  বলতে চাইনি । হয়তো  যে ভালোবাসা পেয়েছিলাম সেই ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়ে পারিনি । হয়তো আমি অদের অই ভাবে বুঝাতে পারিনি । সময়ের সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে একটা সময় দূরে চলে যেতে থাকে । তখন নিয়ম মেনে চলাই তাদের দায় । দেখলে কেমন জানি আগের সেই ভালোবাসার মুখ গুলো মলিন দেখায় । ভুল কোনটা ছিল আমি অদের ভালো চেয়েছিলাম নাকি । কোনটা ভালো সেটা আমি বুঝনি। সময়ের সাথে সাথে আজ আর কেও নেই । সবাই দূরে চলে গেছে যাচ্ছে । একটা সময় মনে হতো অরা কি কোণ দিন আমাকে বুঝবে না । আমি কাদের জন্য এত কথা বলি । কার জন্য বলি । আমি এখন বড্ড ক্লান্ত অনেক ভুল করতে দেখে এখন আমি আর কাওকে ভালো করতে যেতে চাইনা । আমার কাছে এখন কারও কোণ  দায় নেই । আমি বুঝতে পারি আমি চলে এসেছি আমার সেই দায়িত্ব বোধ থেকে অনেক দূরে । কি করবো চেষ্টা করেও যে কিছু করতে পারিনি ।  মাঝে মাঝে মনে হত  অরা কোণ একদিন আমাকে বুঝতে পারবে । আমি কি বলতে চেয়েছি কাদের জন্য কাজ করতে চেয়েছি । সে দিন সেই সজুগ পাইনি এখনও আমি । কিছু বলতেও পারি না । যাই হোক আমি এখনও শিক্ষক আমার দায়িত্ব অনেক ।  চেষ্টা করতে থাকি । কখনোবা কাজে আবার কখনও বা নিজের সাথেই নিজেকে নিয়ে বাস্ত থাকি । এখন তো অনেক নাটক শিখে গেছি ভালো থাকার । সময় টা চলেই গেল শেষ হল আমার জীবনের প্রথম ব্যাচ । চলে যাচ্ছে অরা কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু সেটা তো বুঝতে দেওয়া যাবেনা । আর স্যার দের কোণ কষ্ট পেতে আছে নাকি ? আমি যাদের জন্য কষ্ট পাচ্চি তারা কি জানে বা বুঝতে পারছে । হয়তো পারছে আবার হয়তো না । জীবনে যে আর ক্লাস রুম বা কলজে দেখা হবে না সেটা তো সবাই জানে কিন্তু তারপর কেন জানি মায়া হচ্ছে । কেন  জানি ভাবতে পারছি না । কেন চলে যাবে অরা সময় যে ওদের বিদায় বলে দিয়েছে সেটা তো আমি ভালো  জানি । ওদের শেষ   মুহূর্তে অনেক কথাই মনে হচ্ছে কিন্তু থাক না কিছু কথা না বলাই থাক ।
অরা চলে গেছে অনেক দিন কথা নেই । কোণ খবর নেই । যেটা বাস্তবতা সেটাই তো সত্যি কে কার খবর রাখে । মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি ফোন এল  ফোন এর  অপারে  কেও  বলছে কেমন আছেন স্যার । কত দিন দেখিনা আপনাকে । ঘোর কেটে যায় সময়ের বাস্ততার মাঝে চলে যায় দিন ।।  ভাবনাতে এখন আর আগের মত কেও  আসেনা । বয়সটা একটু বেরে গেছে । তো তাই সংসার চাকরি দেশ এই নিয়ে ভাবতে সময় চলে যায় । বাকিটা কখন ভাববো ।  কয়েক বছর পর  একটা কল পেলাম কেও কাঁদো কাঁদো গলায় বলছে স্যার কেমন আছেন ।  কিছু বুঝতে পারছিলাম না প্রথমে কণ্ঠ টা অনেকটা চেনা কিন্তু তারপর কেন  জানি বুঝতে পারছিনা কে আবার যখন বলল বুঝতে পারলাম  । ফোন ধরেই কান্না শব্দ শুনতে পেলাম কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না । একটা সময় সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করলাম । কেন কান্না করছ জানতে চাওয়ার সাহস হল না । তারপর এক দিন  দেখা হল   চুপচাপ একটা জায়গায় । বড্ড ভালো লাগছে সময়টা । সন্ধ্যার আকাশের  হালকা মেঘ । দেখা হল অনেক বছর পর সে আমারই ছাত্রছাত্রী। অনেক দুরুন্ত ছিল আজ  কেন জানি কোণ দুরুন্ত পনা নেই ।  মুখটা কেমন জানি ফ্যাকাসে হয়ে  আছে । অনেক দিন পর দেখা তো তাই হয়তো এমন লাগছে । জানতে চাইলাম কেমন আছো । ভালো আছি বলেই শেষ করল । আর কোণ কথা নেই । কি বলার জন্য ডেকেছ বলবে তো নাকি । আমি কিছু বুঝতে না ওঠার আগেই কান্না শুরু করল । অরা কাদছে আর আমিও কাদছি কিন্তু আমার কান্না কেও দেখছে না । অরা কেদেই যাচ্ছে …।।